করোনার প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেকগুলো তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আর এটিরই সুযোগ নিচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছর তৈরি পোশাক খাত থেকে রেকর্ড ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। বাণিজ্য বিষয়ক প্রভাবশালী গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা আবদুল রাজাক দাউদ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা সচল রাখতে হিমশিম বেশিরভাগ কারখানার। অন্যদিকে, পাকিস্তানে ভিন্ন চিত্র। কারখানাগুলো সব ধরনের সতর্কতা মেনে চালু রাখা হয়েছে। যার ফল হিসেবে মিলেছে স্বনামধন্য বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পোশাক ব্র্যান্ডের অর্ডার।

পাকিস্তানের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে। চলতি বছরের জুনে এ খাতে রেকর্ড ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের আশা করছে দেশটি। আগামী বছর তা ২৬ বিলিয়ন ডলার হবে বলেও ধারণা করছে, যা বর্তমানে দেশটির মোট রপ্তানির চেয়েও বেশি।  

মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পাক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যিক উপদেষ্টা আবদুল রাজাক দাউদ দাবি করেন, তিন-চার বছর আগে পোশাক রপ্তানিতে পিছিয়ে থাকলেও এখন বাংলাদেশের প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে তার দেশ।

ব্লুমবার্গ বলছে, বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের তুলনায় বেশি প্রণোদনা, শুল্ক ছাড়, কম সুদে ঋণ এবং সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে তৈরি পোশাক খাতকে আরও গতিশীল করার পরিকল্পনা নিয়েছে পাকিস্তান।